নাম শ্রী সিমিয়ন কিসকু (২৯), তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার এক পা নেই। তবু চার কিলোমিটার পথ বাঁশের লাঠিতে ভর করে এক পায়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হেঁটে ভোট কেন্দ্রে এলেন। এসে দেখেন তালিকায় তার নাম নেই। তিনি অন্য কেন্দ্রের ভোটার। কিসকুকে এখন চার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অন্য কেন্দ্রে ভোট দিতে হবে।
এদিকে শ্রী সিমিয়ন কিসকু গত বছরগুলোতে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের মুন্ডুমালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছিলেন। তবে এবছর মুন্ডুমালা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এই কেন্দ্রে এসে দেখেন ভোটার তালিকায় নাম নেই। তিনি বসতবাড়ি ও এলাকা পরিবর্তন করায় বর্তমানে বাধাইল ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রের ভোটার।
এতে সাময়িক কষ্ট পেলেও ভোট দেওয়ার ইচ্ছা নষ্ট হয়নি তার। জানতে পেরেছেন পার্শ্ববর্তী বাধাইর ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় তার নাম স্থানান্তরিত হয়েছে। তাই আবারও ৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ভোট দিতে যাবেন সে।
এদিকে সিমিয়ন কিসকু বলেন, ভোট আমি দেবই। তবে নতুন ভোটার তালিকা যেখানে আছে সেখানে গিয়ে ভোট দেব। তবে তালিকায় নাম স্থানান্তরিত হয়েছে বিষয়টি আমাকে আগে জানানো হয়নি।
এ সময় তানোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাহিদ হাসান বলেন, সিমিয়ন কিসকু তার পরিবার আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন। তবে সম্প্রতি তারা বাধাইর ইউনিয়নে চলে যাওয়ায় তাদের ভোটার তালিকা পরিবর্তন হয়েছে। একারণে সে এই কেন্দ্রে ভোট দিতে পারছেন না।